লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে দুলাভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে শ্যালকের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ মাস কারাদন্ডের রায় দেয় আদালত। রায়ে অপর আসামী বাবলুর মা মোছাঃ রশিদা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল আলিম বাবলু(৩৫)। সে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কিসামত চোংগাদারা এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জের বাসিন্দা ইউনুছ আলীর ছেলে এরশাদ আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় সদর উপজেলার চোংগাদারা এলাকার রশিদা বেগমের মেয়ে সুলতানা বেগমের। বিয়ের চার বছর পর কলহের জেরে স্ত্রী স্বামীর বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়ী চলে আসে। স্ত্রীকে নিতে স্বামী এরশাদ ২০১৭ সালের ১২ জুলাই শশুরবাড়িতে যায়।
সেখানে ওই বছরের ১৬ জুলাই স্বামী স্ত্রীর মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে শাশুড়ী ও শ্যালকের সাথে কথা-কাটাকাটিতে হয় এরশাদে। সে কলহের জেড়ে সৃষ্ট ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যার শিকার হয় এরশাদ। ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী শাশুড়ী ও শ্যালককে আটক করে গত ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই পুলিশ ও এরশাদের পরিবাকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে গত ৩১ মার্চ ২০১৮ সালে শাশুড়ী রশিদা বেগম ও শ্যালক বাবলুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
লালমনিরহাট জেলা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, এরশাদ হত্যা মামলায় ২১ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করে আদালত আসামী আব্দুল আলিম বাবলু ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থ অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ডের রায় দেয় আদালত।